খবরের ভিডিও ঃঃ
https://youtu.be/-l0XuI-j9HQ
কৃষিজ ফসলের উৎপাদন বৃদ্ধি তথা কৃষি কেন্দ্রিক অর্থনীতির বিকাশের জন্য বৈজ্ঞানিক প্রথায় ফসলের জলসেচের গুরুত্বপূর্ন ভুমিকা আছে।
বর্তমানে আবহাওয়ার খামখেয়ালিপনার জন্য বার্ষিক গড় বৃষ্টিপাতের ঘাটতি এবং ভুগর্ভস্থ জলের অপরিমিত ব্যবহারের ফলে কৃষিক্ষেত্রেও জলের সংকট ভয়ঙ্কর আকার ধারন করেছে, কৃষিতে জলের সঞ্চয় এবং সংরক্ষনের জন্য পশ্চিমবঙ্গ সরকার ' বাংলা কৃষি সিঞ্চাই যোজনা ' প্রকল্প চালু করেছেন। এই প্রকল্পের মাধ্যমে ক্ষুদ্র ও প্রান্তিক কৃষকদের (যাদের জমির পরিমান ন্যুনতম ৩ বিঘা) জমিতে ফোয়ারা সেচ স্থাপনের জন্য ভর্তুকী দেওয়া হয়। ৩ বিঘা জমিতে ' ফোয়ারা সেচ' স্থাপনের জন্য প্রায় ১৪,০০০ - ২০,০০০ টাকা খরচ হয় যা পশ্চিমবঙ্গ সরকার পুরোটাই ভর্তুকী হিসাবে দিচ্ছে এবং কৃষক কে শুধু জিএসটি অংশ বাবদ ১৭০০-২০০০ টাকা দিতে হচ্ছে।
'ফোয়ারা সেচ' পদ্ধতিতে ডুবিয়ে সেচ দেওয়ার থেকে জলের অপচয় অনেক কম হয় এবং প্রায় ২৫-৫০% জলের সঞ্চয় হয়। ফলে কম জল ব্যবহার করে অনেক বেশী পরিমান জমিতে সেচ দেওয়া সম্ভব হয় এবং চাষীদের সেচের খরচ কমে।এই পদ্ধতির সাহায্যে সব্জী, ফল, ডালশস্য, তৈলবীজ প্রভৃতি ফসলে এবং ধানের বীজতলায় সেচ দেওয়ার জন্য এবং সেচের জলের সঙ্গে সার, কীটনাশক একসঙ্গে দেওয়া সম্ভব হয়।
বেলডাঙ্গা-২ ব্লকে ' বাংলা কৃষি সেচ যোজনা ' প্রকল্পের মাধ্যমে দাদপুরের সুর হক সেখ, ইয়াসিন সেখ, আন্দুলবেড়িয়ার জয়ন্তী দে, দুলার মন্ডল, পিলখানার শঙ্কর দুবে, ঝর্না ঘোষ সহ ৩১ জন কৃষকের জমিতে 'ফোয়ারা সেচ' স্থাপন করা হয়েছে। কৃষকরা সকলেই জানিয়েছেন তারা এই উদ্যোগে খুশি।
তথ্য ও সংকলন: অর্ক প্রভ ঘোষ, সহকারী কৃষি অধিকর্তা, বেলডাঙ্গা-২ ব্লক
0 Comments