মনখারাপঃ ঈদ আসছে নীরবে, মন তাই বিষন্ন, ভারাক্রান্ত
বিশেষ প্রতিবেদন - নিজামুদ্দিন সেখ
দীর্ঘ একমাস রোজা পালনের পর আসে খুশির ঈদ। ঈদ উপলক্ষে নতুন জামা কাপড়ের দোকান থেকে শুরু করে সিমুই, খুরমা আর মিষ্টান্নের বাজারে ভিড় থাকে চোখে পড়ার। কিন্তু এবারে সবকিছু যেন বদলে গেছে প্রতিবছরের একই ছবি যেন এবছরের সম্পূর্ণ উল্টে গেল। নতুন জামাকাপড় কেনাকাটা নেই, বাড়ির বড়োদের আদরমাখা ছোয়া নেই।
পৃথিবী এক গভীর সংকটে, এক অদ্ভুত আঁধার এর মধ্যে দিয়ে চলেছে সংকট- "করোনা"। তাই এবারে সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে নিজ নিজ বাড়িতে ঈদ পালনের আহ্বান।
ঈদের আগের দিনে একেবারে চূড়ান্ত প্রস্তুতি থাকে গ্রামজুড়ে। কিন্তু এবছর যেন সব নীরব, নেই কোলাহল নেই ছোটদের আনন্দমুখর যাতায়াত। শুধু একরাশ আশঙ্কায় উৎকণ্ঠা নিয়ে দিন কাটছে আমাদের।
তারপর প্রাকৃতিক দুর্যোগ বছরের চেনা ছবিটাই যেন আরো বদলে দিয়েছে, আফফান ফসলের ক্ষতি করে চাষীর মুখের হাসিটুকু কেড়ে নিয়েছেন। হাট-বাজারেও ব্যবসায়ীদের ম্লানমুখ।
ঈদের সেই সকালে দলবেঁধে ঈদগাহ এর উদ্দেশ্যে যাওয়া এ বছর আর হবে না।
হবেনা কোলাকুলি। শুধু দূর থেকে শুভেচ্ছা বিনিময় করে চলে আসতে হবে। মন বিষন্ন ভারাক্রান্ত তবুও সেই পুরনো দিনের স্মৃতিগুলো নিয়েই খুশি থাকা।
এবারের ঈদ পালিত হবে নীরবে।কারণ চোখের সামনে ভেসে ওঠে ক্ষুধার্ত মানুষের হাহাকার। পথ চলতে চলতে থেমে যাওয়া মানুষের আর্তনাদ ছবি। ভেসে ওঠে প্রাকৃতিক দুর্যোগে ক্ষতিগ্রস্তদের করুণ দৃশ্য। তাই খুশির ঈদে মুখভার সকালের।
করোনা বদলে দিল ছবিটাই। পিছিয়ে দিল সবকিছু। তাই ঈদের আগে মন খারাপের ছবিটাই যেন বড় বেশি প্রকট হয়ে ওঠে। তবু আগামীদিনের বিশ্বাস ভরসা হৃদয়ের দৃঢ় প্রত্যয় পৃথিবী আবার শান্ত হবে।
0 Comments